যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের সমষপুর গ্রামের সোহানুর রহমান (২৫) নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বাবা-মা তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে পায়রা ইউনিয়ন সমষপুর গ্রামের গ্রাম ডাক্তার হাবিবুর রহমান সরদারের বড় ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সে ইউনাইটেড কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পরীক্ষার ফলাফল ভালো না হওয়ায় হতাশাজনিত কারণেই এই আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভয়নগর থানার এসআই হরসিত বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহানুর রহমান নামের একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্য ও তার বাবা-মা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং ছেলেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখতে পান তারা।
এ সময় মৃতের নিজ হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটে লেখা ছিলো:
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘প্রিয় মা-বাবা আমার স্বপ্নগুলো কোনদিন পূরণ হবে না। আমার শেষ ইচ্ছাটা তোমরা রেখো। আমার লাশ যেন পোস্টমর্টেম করা না হয়। আমি হঠাৎ মারা গেলাম, আমার আর বাঁচতে ইচ্ছা হয় না। জব করে ঋণের বোঝা সামলানো সম্ভব হচ্ছে না।
আসলে আমার কপাল ভালো না। আমার মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে লোন শোধ করে দিও। আমি চলে গেলাম তোমাদের ছেড়ে অনেক দূরে। আমার কপাল ভালো হলে হয়তো বেঁচে থাকতাম। তোমার ছেলে (প্রান্ত)।’
পায়রা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বিশ্বাস জানান, প্রান্ত খুব নরম প্রকৃতির ছেলে ছিল। তার মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। মনে হয় লাশ কয়েকদিন ধরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছিল।
অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল জানান, বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রান্ত নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে চিরকুট লিখে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিন পৃষ্ঠার চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
কোনো অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।